বুনো (৮৮)
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
(বুনো আজ শুনাবো রৌদ্রময়ের কথা)
…………………………………
রৌদ্রময়,
প্রনয়ের ইতিবৃত্ত টেনে নিলে !
আমি দ্বিতীয় বার সংজ্ঞা হারালাম !
বেওয়ারিশ লাশের মতো কলার ভেলায়
দুর……… বহুদুর আলো বিহীন সায়রের
নোনা জলে ফেলে দিলে …….. আবার এলে !!!
রৌদ্রময়,
মনে পড়ে, তোমার নীলকণ্ঠে
আমি বারবনিতা ছিলাম !
চুঁপিসারে নিকষ আঁধারে আসতে ………
রাতের প্রহরী হতেম আমি !
আদিম উৎসবের পাশাপাশি চলতো
কথার খেলা………!
হায়নার চোখে যখন ঘুম নামতো
বাদুর যখন উল্টো হয়ে গাছে ঝুলতো
তখন তুমি চলে যেতে…………!
এখানেই শেষ হলেই বুঝি ভালো হতো !
…………… নাহ আরও যে বাকি…………
রৌদ্রময়,
মাঝে মাঝে দুজন চলে যেতাম
শহরের কোলাহল ছেড়ে………
যেখানে বাণিজ্যিক হাওয়া বদলে যেতো !
শিরশির আবেশে উদাস গলায় গাইতে
অতুল প্রসাদ , রাধারমণের গান !
অপূর্ব জীবন দর্শন তোমার……
আমি দৈন্যতায় ভরা… পিয়াসী রাতের বারবনিতা !
রৌদ্রময়,
রোদ ছিলো বর্ণছটায়
গোধূলির মেঘ মুক্ত দখিনা বাতাস ।
শিফনে আমি অপরূপা…………
সন্ধ্যার মুরতি তখন শেষ ক্ষণে……
আড়ম্ভর রাতের কেবল শুরু………
তুমি হারাতে দেহে আর আমি তখন
কৈশোরীয়া প্রেমে…………
তমাল… হ্যাঁ তমাল
আমার কৈশোরীয়া প্রেম…………!
আহা, মঁটরের আল পথ বেয়ে
চলে যেতাম দূর বহুদুর……!
গাঢ় রাত্রিতে হতেম অবুঝ প্রেমের নিশীগন্ধা !
অকারণে তার রক্তের অসংখ্য আমিত্ব কে হত্যা করেছি !
একদিন সেই ই আমাকে বিক্রি করে দিলো…………!!!
কতো রক্তাক্ত হয়েছি……!?
কতো রক্ত ঝরেছে………!?
রৌদ্রময়,
তোমাতে এখন আমার রুচি নেই……!
বিকল্প খুঁজছি………!!
এ শহর আমাকে আলট্রা মর্ডাণ বানিয়েছে ।
পতিতের অভাব নেই………
আমার নামি দামি পতিত
নিত্য নতুনের স্বাদ খুঁজে………
ভেবেছি, আমি ও বদলে নেবো!!
জন সমুদ্রের গর্জন…………
……………………রাত্রির কোলাহল………………
………………… বিশেষ কোন ভাবনার মৌনতা…………
…………………শেষ সেঁজুতির বংশীবাদক……………
কিংবা…………
হৃদয় ধ্বনির তানপুরার দহন কাল !
হল্লা করে সুখ ডেকে নেবো……
নেবো দু চোখ ভরে নব পতিতের
অঙ্গরাজ্য…………
বিজনের দহন কাব্য……
…………… কিছু পঁচে যাওয়া সময়ের উল্লাস!
বুনো,
আমি মগ্ন ছড়িয়েছি অকারণ!
হ্যাজাকের আলোয় শূণ্যের বিলাসিতায়
অসংখ্য আমিত্ব হত্যা করেছি বার বার!
আলিপ্ত বাগানে তুমি সুন্দর নাচিয়ে
প্রেমের বিলাস ছড়াও হেমন্তের গাঙচিলের
দোটানায়।
হে হেম, বুনো সঙ্গমে এসো
পালিত স্বপ্নের ওমে
যেথা একটা তুমি
আরেকটা আমি!!!
Leave a Reply